জামাইকে মুখে বিষ ঢেলে প্রাণে মারার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে : পথ অবরোধ

21st September 2020 7:30 pm বর্ধমান
জামাইকে মুখে বিষ ঢেলে প্রাণে মারার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে : পথ অবরোধ


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :  শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধোর করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে জামাইকে প্রাণে মারার অভিযোগ উঠলো শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা কালে রবিবার বিকালে জামাই সাহাজান সেখ (৩৭) এর  মৃত্যু হয় । তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম থানায় উক্তা গ্রামে । বীরভূম জেলার বোলপুর থানার ঘিদহ এলাকায় সাহাজানের শ্বশুরবাড়ি । সোমবার বর্ধমান হাসপাতাল পুলিশ মর্গে মৃত ব্যক্তির দেহের ময়নাতদন্ত হয় ।মৃতের পরিবার  ঘটনা সবিস্তার উল্লেখ করে বোলপুর থানায়
অভিযোগ দায়ের করে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করেছেন । 

 পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে ,বছর সাত আগে উক্তা গ্রামের যুবক সাহাজান সেখের  সঙ্গে বিয়ে হয় বোলপুর থানার ঘিদহ এলাকার তরুণী ফারহানা বেগমের।  তাঁদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের কয়েক বছর পর অপর এক পুরুষের সঙ্গে ফারহানার  বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে।  সাহাজান  তা জানতে পারার পর ফারহানার সঙ্গে তাঁর  সম্পর্কে অবনতি হয়।দু’জনেই  আলাদা থাকতে শুরু করেন । তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়েও কথা হয়ে যায় । মৃতের ভাই  বাবর আলি এদিন বলেন, মেয়ে কান্নাকাটি করছে বলে জানিয়ে  দিন কয়েক আগে  ফারহানা ফোন করে সাহাজানকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে পাঠায়। মেয়ের মায়ায় সাহাজান বোলপুরে শ্বশুরবাড়িতে যায় ।বাবর বলেন , এরপর থেকে তাঁরা সাহাজানের সঙ্গে  আর কোনভাবে যোগাযোগ করতে পারেননা।তাঁরা  বোলপুর থানায় গিয়ে  নিখোঁজ ডাইরি করেন।  তারইমধ্যে গত বুধবার সাহাজান তাঁদের এক আত্মীয়কে  ফোন করে।  তাকে সাহাজান জানায়,শ্বশুরবাড়ির লোকজন  তাঁকে মারধোর করে  মুখে বিষ ঢেলেদিয়ে  বাথরুমে আটকে রেখেছে। বাবর আলি জানান ,এই খবর পেয়েই পরিবাবার লোকজন সবাই সাহাজানের শ্বশুর বাড়িতে যান । সেখান থেকে সাহাজানকে উদ্ধার করে তাঁরা বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই দিনই ফারহানা সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বোলপুর থানায় এফ আই আর দায়ের করেন ।শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁরা  বৃহঃস্পতিবার সাহাজানকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনেন।  পরে তাঁকে বর্ধমানের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়েগিয়ে ভর্তি করেন । কিন্তু ষেখানেও শারীরিক অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় তাঁরা রবিবার ফের তাঁকে  বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি করেন । রবিবার বিকালে সেখানেই সাহাজান মারা যান। এদিন 
বর্ধমান হাসপাতালে হাজির থাকা মৃতের জামাইবাবু সেখ উজ্জ্বল বলেন, ‘এক্স রে রিপোর্টে দেখা গেছে সাহাজানের পাঁজরের হাড় ভাঙ্গা রয়েছে। তার থেকে পরিস্কার হয়ে গিয়েছে সাহাজানকে  ব্যাপক মারধোর করার পর  তাঁর মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া  হয়েছিল । তার জেরেই সাহাজানের মৃত্যু হয়েছে । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।